উদ্যোক্তা হবার সুযোগ গ্রহণ করুন
সাহজ বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অন্যতম বৃহত্তম বিতরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে যার রয়েছে ৪৫,০০০ ফিজিটাল খুচরা দোকান।
সাহজ বাংলাদেশের গ্রামীণ অঞ্চলে অন্যতম বৃহত্তম বিতরণ নেটওয়ার্ক পরিচালনা করে যার রয়েছে ৪৫,০০০ ফিজিটাল খুচরা দোকান।
বর্ণনা বর্ণনা বর্ণনা বর্ণনা বর্ণনা
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজনের নিয়মিত ভেন্যু এবং চলমান বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি২০ সিরিজের আয়োজক চট্টগ্রাম দীর্ঘদিন ধরে দেশের অন্যতম প্রধান ক্রিকেট কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় দর্শকেরা প্রায়ই আন্তর্জাতিক ম্যাচ উপভোগের সুযোগ পেলেও, বন্দরনগরীর ক্রিকেট সংস্কৃতির প্রাণ থাকা আঞ্চলিক প্রতিযোগিতাগুলোর রেশ এখন অনেকটাই হারিয়ে গেছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ঢাকার বাইরে খুব কম জেলাই নিয়মিত ঘরোয়া লিগ চালু রাখতে পেরেছিল। কিন্তু আকরাম খান, মিনহাজুল আবেদীন নান্নু, আফতাব আহমেদ, নাফীস ইকবাল, তামিম ইকবাল ও মুমিনুল হকের মতো তারকা ক্রিকেটারদের গড়ে তোলা চট্টগ্রাম ছিল এদিক থেকে ব্যতিক্রম। দশকের পর দশক ধরে শহরটি সফলভাবে নিজস্ব প্রিমিয়ার লিগ ও নিচের স্তরের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে আসছিল নিরবচ্ছিন্নভাবে। তবে সেই ঐতিহ্য এখন থেমে গেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে চট্টগ্রামের ক্রিকেট কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে। এ বছর শহরের প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করা যায়নি। এমনকি দ্বিতীয় বিভাগ লিগ, যা রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় মাঝপথে বন্ধ হয়েছিল, তাও এক বছরেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনো পুনরায় শুরু হয়নি।
যদিও এ বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার অংশগ্রহণে একটি আঞ্চলিক ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি২০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়, সেটি স্থানীয় খেলোয়াড়, আয়োজক ও সমর্থকদের ক্ষুধা মেটাতে পারেনি।
শহরের ক্রিকেট অঙ্গনের সঙ্গে যুক্তদের মতে, সাবেক জেলা প্রশাসক ও ক্লাব কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্পর্কের টানাপড়েন ক্রিকেট কার্যক্রম বন্ধের বড় কারণ। সরকার পরিবর্তনের পর জেলা ক্রীড়া সংস্থার পুরনো কমিটি বিলুপ্ত হওয়া এবং বর্তমান অ্যাড-হক কমিটির নিষ্ক্রিয়তাও পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে।
তিন ম্যাচ সিরিজে দাপুটে পারফরম্যান্সে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। শারজায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে টাইগাররা আফগানদের ৬ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে জিতে নেয়। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হন সাইফ হাসান এবং সিরিজসেরা হয়েছেন নাসুম আহমেদ, যিনি পুরো সিরিজে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
দারুণ ব্যাটিংয়ে সাইফের ঝড়, সিরিজে বাংলাদেশের দাপট
তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ব্যাট-বলে আধিপত্য দেখায় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করে আফগানিস্তানকে ১৪৩ রানে থামায় টাইগার বোলাররা। এরপর ব্যাট হাতে আত্মবিশ্বাসী ইনিংস খেলেন সাইফ হাসান। তার ঝড়ো ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংসেই জয় পায় বাংলাদেশ।
জয়ের টার্গেট ছিল ১৪৪ রান। ওপেনার পারভেজ (১৪) দ্রুত আউট হলেও সাইফ ও তানজিদ দ্বিতীয় উইকেটে ৫৫ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত মজবুত করেন। তানজিদ ৩৩ রানে বিদায় নিলেও সাইফ ব্যাটে ঝড় তুলে ম্যাচ শেষ করে আসেন। ৩৮ বলে ২ চার ও ৭ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার সঙ্গে শেষ দিকে ৯ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন নুরুল হাসান সোহান।
মুজিবের জোড়া আঘাতেও টলেনি বাংলাদেশ
১৪তম ওভারে আফগান স্পিনার মুজিব উর রহমান টানা দুটি আঘাতে ফিরিয়ে দেন জাকের আলী (১০) ও শামীম হোসেনকে (০)। কিন্তু সাইফের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১২ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে তারা।
আফগানদের বিপর্যয়, থামল ১৪৩ রানে
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে আফগানিস্তান ইনিংসের শুরুতেই বিপদে পড়ে। শরিফুল ইসলামের বলে ইব্রাহিম (৭) ফেরেন, এরপর নাসুম আহমেদের বলে গুরবাজ (১২) ও সাইফউদ্দিনের বলে তারাখিল (১১) আউট হলে পাওয়ার প্লেতেই তারা ৩৯ রানে তিন উইকেট হারায়।
সেদিকুল্লাহ অটল (২৮) ও রাসুলি (৩২) কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ হয় আফগানরা। শেষ দিকে মুজিবের ২৩ রানের ইনিংসে ভর করে তারা ১৪৩ রানে থামে।
বাংলাদেশের পক্ষে সাইফউদ্দিন ৩ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ছিলেন সেরা বোলার। তানজিম হাসান সাকিব ও নাসুম আহমেদ নেন দুটি করে উইকেট।
হোয়াইটওয়াশে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ
এই জয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। তবে শারজার মাঠে এটি টাইগারদের প্রথম এমন অর্জন।
এর মাধ্যমে ২০১৫ সালের পর প্রথমবার মরুর বুকে কোনো দ্বিপক্ষীয় সিরিজে হারের স্বাদ পেল আফগানিস্তান, যারা এর আগে টানা ৯টি সিরিজ জিতে আসছিল।
বাংলাদেশ একাদশ:
জাকের আলী (অধিনায়ক), তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, সাইফ হাসান, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, সাইফউদ্দিন, তানজিম হাসান সাকিব, রিশাদ হোসেন, নাসুম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন মোল্লা, ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মো: আবু তাহের, মো: কফিল বেপারী, আবুল হোসেন তালুকদার, মো: সোহরাব হোসেন, মো: নজরুল দেওয়ান,সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: বিল্লাল হোসেন, মো: মান্নান হোসাইন, এনায়েত হোসেন,মোহাম্মদ আলী,ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মো: আবু বক্কর,মো: শহিদুল ইসলাম, মো: নুরুল আমিন দেওয়ান,মো: প্যারিস খান,মো: আলমগীর, সাধারণ সম্পাদক মোঃ স্বাধীন,মো: আহসান হাবিব, শ্রীনগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক লিমন মোড়ল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তানভীর ছোবহান প্রমুখ।